ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: সম্প্রতি বর্ধমানে বিজেপির জেলা অফিসে মারধর, ভাঙচুরের ঘটনায় আদি ও নব্য বিজেপির মধ্যে যে ফাটল দেখা দিয়েছিল – ভোট যত এগিয়ে আসছে ক্রমশই তা চওড়া হচ্ছে। রবিবার সেই ফাটল আরও বড় আকারে দেখা দিল বর্ধমান উত্তর বিধানসভার ২৮নং জেলা পরিষদ মণ্ডলে। এদিন এখানে বিজেপির আদি সদস্যরা রীতিমত বিধানসভার নির্বাচনে প্রার্থী খাড়া করার উদ্যোগে দেওয়াল দখল শুরু করে দিলেন। আর এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই খোদ বিজেপির অন্দরেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। একদিকে খোদ শাসকদলে ভাঙন, অন্যদিকে ক্রমশই তীব্রতর হচ্ছে এবার বিজেপির বর্ধমান জেলায় ভাঙন। আর এরই মাঝে এদিন নাড়ি মোড় বেলবাগান এলাকায় আদি বিজেপির পক্ষ থেকে দেওয়াল দখল শুরু হল। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির এই মণ্ডলের প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি সঞ্জয় দাস, প্রাক্তন সহসভাপতি বিপ্লব পাল, উদয়শঙ্কর ঘোষ, সুজিত দাস, প্রাক্তন সম্পাদক লাল্টু দাস, অশোক সাঁতরা, মাল প্রমুখরাও।
উল্লেখ্য, এর আগে গলসী অঞ্চলেও আদি বিজেপির পক্ষ থেকে সরাসরি জেহাদ ঘোষণা করা হয়েছে। ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই বিজেপির আদি ও নব্য ফারাক বাড়তে থাকায় রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। আদি বিজেপির নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেবেন। তারা জানিয়েছেন, তারাই অসময়ে দলের জন্য মার খেয়েছেন, জেল খেটেছেন। কিন্তু সন্দীপ নন্দী জেলা সভাপতি হওয়ার পরই ৫০জন বুথ সভাপতিকে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।তাদের ক্ষোভ যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন তারা, সেই সিপিএম, তৃণমূলের লোকেদের দলে নিয়ে এসে দলটাকে শেষ করছে। সেক্ষেত্রে বিজেপির টিকিট না পেলেও তাঁরা নির্দল প্রার্থী হিসাবেই প্রার্থী খাড়া করবেন। যদিও এব্যাপারে বিজেপির অফিসিয়াল নেতাদের কেউই মুখ খুলতে চাননি।
0 comments:
Post a comment