এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা পুলিশ সুপার সমস্ত পুজো উদ্যোক্তাদের জানিয়েছেন, প্রতিমা দর্শন থেকে বিসর্জনের আগে পর্যন্ত প্রতিটি পুজো মণ্ডপে বাধ্যতামূলকভাবে পুজো কমিটির সদস্য তথা স্বেচ্ছাসেবকদের রাত্রে পাহারা দিতেই হবে। কোনোভাবেই ঘুমিয়ে থাকা চলবে না। কারা কারা কবে কবে পাহারায় দায়িত্বে থাকবেন তাদের নামের তালিকা সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এবারের পুজোয় উৎসবের আবহকে নষ্ট করার জন্য কিছু কিছু শক্তি তৎপর রয়েছে। কিছু কিছু মানষিকতা এটা করার চেষ্টা করছে। তাই তাকে প্রতিহত করতে এই রাত্রিকালীন পাহারা দেবার কাজ করতেই হবে।
তিনি জানিয়েছেন, এবারে বিসর্জনে কোনো শোভাযাত্রা করা যাবে না। মণ্ডপের কাছে যে জলাশয় সেখানেই বিসর্জন করতে হবে। আবেদন পত্রের সঙ্গে কবে বিসর্জন তা জানাতেই হবে। তিনি জানিয়েছেন, কোনোভাবেই সম্প্রীতি নষ্ট যেন না হয়। এরই পাশাপাশি করোনা সংক্রান্ত সমস্ত বিধি নিষেধকে মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরিহিত না থাকলে মণ্ডপে আগতদের মাস্ক দিতে হবে। স্যানিটাইজ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে হবে। একসঙ্গে একগাদা মানুষ যাতে না জড়ো হয় তারজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রসঙ্গত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এবারে বর্ধমান শহরে ছোট গাড়ির কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকছে না। কেবলমাত্র বড়গাড়ির নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তিনি জানিয়েছেন, যদি কোনো মণ্ডপে অত্যাধিক ভিড় হয় তাহলে আপদকালীন হিসাবে সেই মণ্ডপে ঠাকুর দর্শন বন্ধও করে দেওয়া হতে পারে।
0 comments:
Post a comment