ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: জেএনইউ কাণ্ডে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরাসরি বর্ধমানের কার্জন গেটের সামনে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে একাই প্রতিবাদ জানালেন জেএনইউ-র প্রাক্তন ছাত্রী অন্বেষা মুখার্জি। জেএনইউ-র এই ঘটনায় প্রাক্তন এই ছাত্রী জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি বর্ধমান শহরের ভাতছালা এলাকায়। তিনি ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জেএনইউ-র ছাত্রী ছিলেন। কিন্তু এই ঘটনায় তিনি দিল্লীতে গিয়ে প্রতিবাদ জানাতে চাইলেও তিনি যেতে পারছেন না। তাই বর্ধমানেই তিনি এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে এসেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, জেএনইউতে মুক্ত চিন্তা রয়েছে। কখনই সেখানে জোর করে কিছু মত চাপিয়ে দেবার রেওয়াজ নেই। অন্বেষা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের শেষ দিকে এবিভিপি জেএনইউতে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছিল। কিন্তু এই যে ঘটনা ঘটেছে তা রীতিমত লজ্জার এবং ভয়ংকর। তাই প্রাক্তনী হিসাবে তিনি ঘরে বসে থাকতে পারেননি। তিনি জানিয়েছেন, এখনও যাঁরা দোষী তাঁরা গ্রেপ্তার হয়নি। মুখ ঢেকে থাকায় তাঁদের নাকি চেনা যাচ্ছে না বলা হচ্ছে, কিন্তু তাদের পোশাক দেখে তো সহজেই তাদের চিহ্নিত করা যেতে পারে - পুলিশ কেন তা করছে না প্রশ্ন তুলেছেন এদিন অন্বেষা। তিনি জানিয়েছেন, যেখানেই সরকারী বিরোধী প্রতিবাদ হচ্ছে সেখানেই ছাত্রছাত্রীদের ওপরই অত্যাচার নামিয়ে আনা হচ্ছে।
জেএনইউ থেকে যাদবপুর একই ঘটনা ঘটে চলেছে। তিনি জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীরা সফট কর্ণার, তাই তাদের ওপরই বারবার এই আক্রমণ শানানো হচ্ছে। এদিন কার্জন গেটের সামনে অন্বেষার পাশে এসে দাঁড়ান বর্তমানে আফ্রিকার জোহানসবার্গে থাকা আইআইটির ছাত্র উশাক রহমান। তিনি জানিয়েছেন, জোর করে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবাদী কণ্ঠকে রোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। এঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
এদিকে, এদিন সন্ধ্যায় অন্বেষারা যখন কার্জন গেটে নিরব প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন, সেই সময় বর্ধমানের খণ্ডঘোষের একটি ঘটনায় গ্রেপ্তার থাকা বিজেপি কর্মীদের জামিন হয়। তাঁদের নিয়ে বিজেপির একটি মিছিল রাস্তা দিয়ে যাবার সময় অন্বেষাদের এই প্রতিবাদের পাল্টা প্রতিবাদ জুডে় দেন। রীতিমত অশ্লীল ভাষায় তাদের আক্রমণ করে বিজেপি নেতা প্রবাল রায় সহ অন্যান্যরা। যদিও দ্রুত বর্ধমান থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে যাওয়ায় তাদের সরিয়ে নিয়ে চলে যায়। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে শহর জুড়ে।
0 comments:
Post a comment