
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে বর্ধমান শহরের মালিরবাগান মাঠ পাড়া এলাকায় হানা দিয়ে একটি বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করলো প্রচুর পরিমান নকল ঘি তৈরির উপকরণ। অবৈধ এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে দুজনকে আটকের পাশাপাশি পুলিশ মাল বহনকারী তিনটি গাড়িকেও বাজেয়াপ্ত করেছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে মালিরবাগান মাঠ পাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। খবর ছিল একটি বাড়িতে মিষ্টি তৈরির পর ফেলে দেওয়া গাদ থেকে নকল ঘি তৈরি করে তা সরবরাহ করা হচ্ছে। এমনকি এখানে তৈরি করা হচ্ছিল চকলেট। এদিন ডিএসপি হেড কোয়ার্টার সৌভিক পাত্রের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একটি বাহিনী ওই বাড়িতে হানা দেয়। প্রথমে স্থানীয় এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখেও পরে পুলিশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় দেড় বছর ধরে এই নকল কারবার এখানে চলছে। বহুবার জায়গার মালিককে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও এই কারবার বন্ধ হয়নি। এমনকি এই কারবারের আসল মালিক কে তাও তারা হদিস করতে পারেনি।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘি তৈরির যাবতীয় কাঁচা মাল,উপকরণ সহ চকলেট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে। পাশাপাশি এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে দুজন ব্যক্তিকে আটক করেছে। উৎপাদিত ঘি এবং চকলেট বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাবার জন্য রাখা তিনটি গাড়িও আটক করেছে পুলিশ। সৌভিক পাত্র জানিয়েছেন, এই কারবারের সঙ্গে কারা যুক্ত, কোথায় কোথায় এই মাল সরবরাহ হতো ইত্যাদি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মহিন খান, শেখ রফিকরা জানাচ্ছেন, আগে এই কারবার চলতো রেলওয়ে ওভারব্রিজের নীচে। কিন্তু রেল সকলকে উচ্ছেদ করে দেওয়ার পর বছর দেড়েক ধরে এখানে এই অবৈধ কারবার চলছে। এখানে প্রত্যেক দিন ছোট ছোট গাড়িতে টিন ও জার আনা হতো এবং নিয়ে যাওয়া হতো। এই বিষয়ে জিঞ্জাসা করলে বলা হতো গরুর খাবারের জন্য চিটে গুর তৈরী করা হচ্ছে। এই কারখানা থেকে সারাদিন বিকট গন্ধ ছাড়তো, এতে আশপাশের সবাইকার অসুবিধা হতো। কিন্তু এদের বললেও শুনতো না। জানা গেছে, কারখানার জায়গা টি সাহানা বেগম নামে এক মহিলার। তিনি অনিল সাউ ও ভূবনেশ্বর সাউকে কারখানা চালানোর জন্য ভাড়া দিয়েছিলেন।
0 comments:
Post a comment