ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ১৯০২ সালের জানুয়ারী মাসে বর্ধমানের পুতুণ্ডা গ্রামে এক ভক্তকে দেওয়া কথা রাখতে এসেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। পুতুণ্ডা গ্রামের তৎকালীন জমিদার চৌধুরী বাড়ির বৈঠকখানায় তিনি বসেছিলেন বেশ কিছুক্ষণ। বিশ্রাম নেওয়ার পর সেখান থেকে পাশের ভৈটা গ্রামে গেছিলেন প্রিয় শিষ্য হরিপদ মিত্রের বাড়ি। জানা যায়, সেখানেই তিনি ৩দিন ছিলেন। হরিপদ মিত্রের বাড়িতে যে খাটে তিনি শুয়েছিলেন আজও সেই খাট রয়েছে মিত্র পরিবারের কাছেই।
যদিও তা নিয়ে দোটানা কম হয়নি। বেলুড় মঠ ও মিশন বারবার মিত্র পরিবারের কাছে ওই খাট তাঁদের হাতে দেবার জন্য আবেদন জানালেও আজও মিত্র পরিবার তাতে সম্মতি দেননি। শুধু এটাই নয়, বেলুড় মঠ ওই বাড়িটিও গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাও আজও হয়নি।

পুতুণ্ডা রামকৃষ্ণ আশ্রমের সম্পাদক স্বামী কেবলানন্দজী মহারাজ জানিয়েছেন, সম্প্রতি মিত্র পরিবারের একটি শরিক তাঁর অংশের বাড়িটি আশ্রমকে দেবার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আশ্রমের পক্ষ থেকে ওই বাড়িটিকে সংস্কার করতে চায়। একইসঙ্গে গোটা বাড়িটিকে তাঁরা পরিকল্পনামাফিক সাজিয়ে তুলতে চাইছেন।
এদিকে, ১২জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস পালন করা হচ্ছে গোটা দেশ জুড়ে। যুব দিবস হিসাবে নানাভাবে দিনটি পালনের আয়োজন চলছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিবেক উৎসব পালিত হচ্ছে ব্লকে ব্লকে। আর সেই সময় বিবেকানন্দের পদধূলি ধন্য পুতুণ্ডা আশ্রমেও আয়োজন করা হয়েছে একাধিক অনুষ্ঠানের।

স্বামী কেবলানন্দজী মহারাজ জানিয়েছেন, বর্তমানে স্বামীজী ব্যবৃহত একটি চেয়ারকে তাঁরা আশ্রমে সংরক্ষণ করতে পেরেছেন। আর সেই চেয়ারই এখন পুতুণ্ডা আশ্রমের মুখ্য আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। বহু মানুষ আসেন এই চেয়ারটি দর্শন করতে - যে চেয়ারে স্বামীজী বসেছিলেন। এখনও অনেকেই আবেগঘনভাবে বিশ্বাস করেন স্বামীজী এখনও ওই চেয়ারেই অধিষ্ঠান করছেন।
0 comments:
Post a comment