
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: ক্যা লাগু হবেই। আর তার জন্য রাজ্য সরকারের কোনো কর্মচারীর সাহায্য দরকার নেই। কেন্দ্রীয় সরকার আলাদা ভলেণ্টিয়ার লাগিয়ে এবং অনলাইনে এই কাজ করবে। অনেকেই ভেবেছিলেন রামমন্দিরের পর বিজেপির তাস শেষ। কিন্তু রামমন্দিরের পর বিজেপি দেখিয়ে দিয়েছে তাদের হাতে কি তাস রয়েছে। খেলা আরও বাকি।
বৃহস্পতিবার সিএএর সমর্থনে বর্ধমানের টাউন হলে বিজেপির উদ্যোগে আয়োজিত অভিনন্দন যাত্রা ও জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলে গেলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাহুল সিনহা। এদিন এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতা বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, জেলা বিজেপির সভাপতি সন্দীপ নন্দী প্রমুখরাও।
এদিন এই জনসভা মঞ্চে রীতিমত বিতর্কিত বক্তব্য রাখেন বিজেপির জেলা যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি শ্যামল রায়। এদিন তিনি বলেন, বিজেপির মিছিল মিটিংকে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে। তিনি বলেন, যাঁরা বিজেপিকে মোমবাতি দেখাবে, বিজেপিও তাদের মোমবাতিই দেখাবে। আর যাঁরা বিজেপিকে বোমা দেখাবে, বিজেপিও তৈরী বোমা দেখানোর জন্য। এদিন শ্যামল বলেন, তৃণমূলকে মার দেবার আগে পুলিশকে মারুন, পুলিশের গাড়ি জ্বালান, দেখুন ভয় পেয়ে যাবে পুলিশ। সমঝে যাবে তৃণমূল। কারণ তৃণমূল পুলিশের ওপর নির্ভর করছে।
এদিকে, এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল সিনহা বলেন, ভারতে বসবাসকারী হিন্দু কিংবা মুসলিম কাউকেই তাড়ানো হবে না। কিন্তু যারা অনুপ্রবেশকারী মুসলিম তাদের তাড়ানো হবেই। যারা লুঙি পড়ে ভারতবর্ষে এসে রেল লাইন ওপড়ানোর চেষ্টা করছেন তাদের রেওয়াত করা হবে না। রাহুল সিনহা এদিন বলেন, সিএএ-র পর এনআরসি। এনআরসি হবেই। এদিন তিনি বলেন, তৃণমূল বিজেপিকে ঠেকাতে সিপিএম আর মাওবাদীদের হাতিয়ার করছে।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এদিন ফের নোবেলজয়ী দুই অর্থনীতিবিদদেরও আক্রমণ করেছেন। রাহুল বলেন, ওঁরা রাজনীতিতে নোবেল জয় করেননি। কিন্তু অর্থনীতি ছেড়ে ওঁরা রাজনীতির বক্তব্য বলছেন। তাই ওঁদের উচিত ঝাণ্ডা় নিয়ে সরাসরি রাজনীতিতে নামা। রাহুল সিনহা এদিন জানিয়ে যান, ভারতীয় হিন্দু বা মুসলিমদের কোনো ভয় বা আতংকের কিছু নেই। তাঁদের কাগজপত্র খোঁজারও কোনো দরকার নেই। একমাত্র বহিরাগত মুসলিম যাঁরা অনুপ্রবেশকারী তাঁদেরই পিছনে লাথি মেরে তাড়াবে বিজেপি।
0 comments:
Post a comment