
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: আজ শুক্রবার থেকে পরপর দুদিন সমস্ত ব্যাঙ্ক পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল অল ইণ্ডিয়া রিজিওনাল রুরাল ব্যাঙ্ক অফিসার্স ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার দিল্লীতে এই বন্ধ রুখতে শেষ চেষ্টা চালানো হলেও তা ফলপ্রসু না হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ীই পরপর দুদিন ব্যাঙ্ক পরিষেবাকে অচল করার এই সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন ধর্মঘটী ইউনিয়নগুলি।
বৃহস্পতিবার এআইবিওসির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন কুমার পাল সাংবাদিক বৈঠকে এই ধর্মঘটের জন্য সাধারণ মানুষের অসুবিধার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা সরকারী স্তরে বারবার তাঁদের দাবীদাওয়া জানিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁরা বছরের পর বছর বঞ্চনারই শিকার হয়ে চলেছেন। তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা এই প্রথম ধাপের দুদিনের বনধের পথে হাঁটছেন।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন সর্বভারতীয় ব্যাংক সংগঠনের নেতৃত্ব জ্ঞানানন্দ ভট্টাচার্য, শ্যামল কুমার রায় প্রমুখরাও। সৃজনবাবু জানিয়েছেন, ১৯৯১ সাল থেকে তাঁরা অন্যান্য কর্মাশিয়াল ব্যাঙ্কের মতই সুযোগ সুবিধা পাবার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। কয়েকদফায় এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় শ্রম দপ্তরের সঙ্গে,আইবিএ-র সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখনও তা মান্যতা পায়নি।
এরই মাঝে সুপ্রীম কোর্টও তাঁদের পক্ষে রায় দিয়েছেন বলে দাবী করে সৃজনবাবু জানিয়েছেন, বেতন চুক্তি, অন্যান্য কর্মাশিয়াল ব্যাঙ্কগুলির মতই তাঁদের পেনশন, চাকরী জনিত সুযোগ সুবিধা, সপ্তাহে ৫দিন কর্মদিবস প্রভৃতি দাবীগুলি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের এই আন্দোলন চলবেই।
তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার ও শনিবার এই দুদিন ১৪ দফা দাবীতে এই ধর্মঘটের পরও তাঁদের দাবী পূরণ না হলে আগামী মার্চ মাসেও পরপর ৩দিন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফার সেই আন্দোলনেও কাজ না হলেও এরপর তাঁরা লাগাতার ধর্মঘটের পথেই হাঁটবেন। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত ব্যাঙ্কগুলিকে বেসরকারীকরণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গোটা দেশের প্রায় ৭০জন শিল্পপতি তথা সংস্থা ব্যাঙ্কের অর্থ আত্মসাত করলেও এখনও সেই টাকা পুনরুদ্ধার করা হয়নি। যার ফলভোগ করতে হচ্ছে ব্যাঙ্ককর্মীদের। তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা এই ধর্মঘটের পথে নেমেছেন।
0 comments:
Post a comment