
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমানের চাণ্ডুল এলাকার জেমুপাড় এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে মনসা পুজোয় স্ত্রী রীনা সোনি সহ এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলন কৈলাশ সোনি। পুজোর অনুষ্ঠান শেষে স্ত্রীকে বাড়ি ফিরে যেতে বললে তাতে রাজী হননি রীনা। তার ইচ্ছা ছিল ঝাঁকলাই গান শোনার পরই সে বাড়ি ফিরবে। এনিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বচসা এবং ছেলে মেয়েকে নিয়েই বাড়ি ফিরে আসেন বর্ধমানের চান্ডুল গ্রামের ক্যানেল বাঁধের বাসিন্দা কৈলাশ। বাড়ি ফিরে যথারীতি দরজা বন্ধ করে শুয়েও পড়েন।
এরপর রাত্রে রীনাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে আসেন রীনার মেজদিদি নমিতা মাঝি (৩৫), জামাইবাবু কালাচাঁদ মাঝি, বড়দিদি মমতা মাঝি, পিসির ছেলে শম্ভু রায়। শুরু হয় ডাকাডাকি। কিন্তু কিছুতেই দরজা খুলতে রাজী হননি কৈলাশ। পরে আচমকাই দরজা খুলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বেড়িয়ে আসেন কৈলাশ। অভিযোগ, এরপরই এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের। এরপরই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৪ জনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক নমিতা মাঝিকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কালাচাঁদ মাঝিকে কলকাতার পিজিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্ধমান হাসপাতালে গুরুতর আহত মমতা মাঝির চিকিৎসা চলছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় শম্ভু রায়ের অভিযোগে পুলিশ বর্ধমান সিউড়ি রোডের একটি ধাবা থেকে কৈলাশ সোনিকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার হয়েছে ঘাতক অস্ত্রটিও।
0 comments:
Post a comment