
Durga Puja News
Gram Banglar Puja- (Durga Puja from Rural Bengal)
latest
state
জেলা
বিনোদন
রাজ্য
সংস্কৃতি
বর্ধমানে মহিলা পরিচালিত অষ্টম বর্ষ ১১পল্লীর বারোয়ারী দুর্গাপুজো এবছর অন্যতম আকর্ষণ

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: আর মাত্র কটা দিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পুরোদমে চলছে পুজো কমিটিগুলির শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি। বিগ বাজেটের পুজোগুলির সঙ্গে পাল্লা না দিয়েই কিছু কিছু পুজো কমিটি তারই মধ্যে আকর্ষণের তথা চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসছে। তাদেরই মধ্যে অন্যতম বর্ধমান শহরের এগ্রিকালচার ফার্ম প্রথম গেটের ১১ পল্লী বারোয়ারী দুর্গাপুজো।
দেখতে দেখতে ৮ম বছরে পা দিল ১১টা পল্লির মানুষের আবেগের এই দুর্গাপুজো। গত ৭ বছর ধরেই পুজোর জায়গার অভাবে ডিভিসি সেচ ক্যানেলই ভরসা এলাকার মানুষের। এবারও তাই সেই সেচ ক্যানেলের ওপর মঞ্চ করেই প্রস্তুত হচ্ছে ৮ম বর্ষ ১১ পল্লী বারোয়ারী দুর্গাপুজোর মণ্ডপ। মঙ্গলবার এই পুজো কমিটি তাঁদের খুঁটি পুজোর মাধ্যমে মণ্ডপ গড়ার কাজ শুরু করে দিলেন।এই পূজো কমিটির সমগ্র পুজোই পরিচালিত হয়ে আসছে মহিলাদের দ্বারা। তাঁরাই চাঁদা সংগ্রহ করেন। পুজোর খুঁটিনাটি পালন করেন। এবছর পুজোয় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পরিবেশকে।কমিটির পক্ষ থেকে সবুজকে রক্ষা করার ডাক দেওয়া হয়েছে। বিগ বাজেটের পুজোর সঙ্গে এই পুজোর যদিও কোনো তুলনা নেই। কিন্তু একান্নবর্তী পরিবার যেমন হয়, তেমনই ১১টা পল্লির মানুষের আবেগের এই পুজোকে ঘিরে রীতিমতো উন্মাদনায় ফুটছে এলাকার কচিকাঁচা থেকে বয়স্করাও।
কিভাবে চলছে কাকা-জ্যোঠা সহ সকলকে নিয়ে একটি পরিবার ? নজীরবিহীনভাবেই বর্ধমান শহরে ১১টা পল্লীর ভিন্ন ভিন্ন মানষিকতা, যুক্তিবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে একত্রিত করে নয়নয় করেও ৭টা বছর ৪দিনের দুর্গাপুজো যে সফলভাবে পালন হচ্ছে, তা ইর্ষণীয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। এই পুজো কমিটির সম্পাদিকা মমতা মণ্ডল জানিয়েছেন, একটা সময় এই এগ্রিকালচাল ফার্ম এলাকায় একটি মাত্র পুজোই হত। কিন্তু এলাকার মানুষ চাইছিলেন আলাদা করে একটি পুজো হোক যেখানে পুরুষ নয়, মহিলারাই হবে প্রকৃত অর্থে দুর্গা। তাঁরাই সবকিছু পরিচালনা করবেন। পুরুষরা থাকবেন, কিন্তু একেবারেই পিছনের সারিতে - প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে। সেইভাবেই শুরু হয় পুজো, এখনও চলছে নির্বিঘ্নেই। ১১টা পল্লীর মহিলারা ঝাঁপিয়ে পড়েন পুজোর জন্য। বাড়ি বাড়ি চাঁদা আদায় থেকে পুজোর আয়োজন সবকিছুই করেন তাঁরা।
পুজো কমিটির সদস্যা চন্দনা মণ্ডল জানিয়েছেন, পুজোর এই চারদিনের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করেন। একেবারেই পারিবারিক পুজোর মতই তাঁরা চুটিয়ে আনন্দ করেন। পুজোর কমিটির কোষাধ্যক্ষ কাবেরী দাস জানিয়েছেন, এবছর পুজোর বাজেট প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। কিন্তু এই বাজেটের মধ্যেই তাঁরা পরিবেশ রক্ষার জন্য সামাজিক বার্তা দিতে চাইছেন সাধারণ মানুষের কাছে। তিনি জানিয়েছেন, পুজো উপলক্ষে থাকছে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।থাকে পেট পুজোর আয়োজনও। পুজো কমিটির সম্পাদিকা জানিয়েছেন, জায়গার অভাবে তাঁদের ডিভিসির সেচ ক্যানেলের ওপর মাচা তৈরী করে পুজো করতে হচ্ছে। তাই তাঁরা এবার প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাবেন ১১টা গ্রামের মানুষের এই পুজোর আবেগকে মর্যাদা দিয়ে যদি কোনো সরকারী জমি পাওয়া যায়। তাহলে সেখানে তাঁরা স্থায়ী দুর্গামণ্ডপ গড়তে পারবেন।