
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ খণ্ডঘোষ থানার খেজুরহাটিতে দুই ভাইকে মারধরের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতের নাম মোল্লা আব্দুর রহিম। খেজুরহাটিতেই তার বাড়ি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বামুনপুকুর গ্রাম থেকে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে আগামী বুধবার পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সোমনাথ দাস। বাকি অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে বলে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় খণ্ডঘোষ থানার খেজুরহাটির বাসিন্দা মোল্লা নজরুল ইসলাম ও তাঁর ভাই মোল্লা আমিনুল ইসলাম তাঁদের হার্ডওয়্যারের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নতুন পুকুরের কাছে মোল্লা হাবিবুর রহমান, মোল্লা গিয়াসউদ্দিন, মোল্লা রাজকুমার, মোল্লা কুদ্দুস, মোল্লা রহিম, মোল্লা মুজাহিদ রহমান, মোল্লা তহিদুর রহমান ও মোল্লা রফিকুল অভিযুক্ত এই ৮ জন বাঁশ, লাঠি, রড প্রভৃতি নিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালায়। তাঁদের প্রচণ্ড মারধর করে।
মারধরে নজরুল ও আমিনুল গুরুতর জখম হন। মারধরে মাথা ফেটে যায় নজরুলের। তাঁর বাঁ পায়ের হাঁটুর নীচের হাড় ভেঙে যায়। আমিনুলের ডান হাত ভাঙে। মাথাও ফাটে। নজরুলের কাছে ব্যাবসার ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ছিল। তাও লুট করে নেয় হামলাকারীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে খণ্ডঘোষ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁদের চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এই ঘটনার বিষয়ে জখমদের ভাই মোল্লা নিয়াজুল ইসলাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পুলিশ।গ্রেপ্তার এড়াতে অভিযুক্তরা আগাম জামিনের আবেদন করে। সেই আবেদন খারিজ করে দেন জেলা জজ মহম্মদ সব্বর রশিদি। আর এরপরই ৮ অভিযুক্তদের মধ্যে একজন কে পুলিশ গ্রেফতার করে।
0 comments:
Post a comment