
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ আম বাঙালির বড়দিনের কাউণ্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই বাজার আলো করে চলে এসেছে হরেকরকমের কেক আর নানাবিধ খাবারের সম্ভার। আর এই বড়দিনের কেকের পিছনে যাঁদের অবদান তাঁদের দিন কাটছে কার্যত দিন-রাত একটানা কাজ করে। তাবু এই পরিশ্রমের পরেও পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে খুশী কারিগররাও।
পূর্ব বর্ধমানের দক্ষিণ দামোদরের ডলফিন বেকারীতে গিয়ে দেখা গেল গত প্রায় একসপ্তাহ ধরেই ৫২জন কর্মী একটানা পরিশ্রম করে চলেছেন। রয়েছে ২৯ ধরণের কেক। সেখানে যেমন রয়েছে মধুমেহ রোগীদের কথা ভেবে অল্প মিষ্টির কেক, তেমনি রয়েছে নিরামিশাষী তথা ডিম বিহীন কেকও। এছাড়াও রয়েছে নানান স্বাদের রকমারি কেক। দাম সকলের প্রায় নাগালের মধ্যে। এবছর ২২ টাকার দামের কেক থেকে ৫০০ টাকার কেক বাজারে নিয়ে এসেছে ডলফিন বেকারি।

উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ইতিমধ্যেই কলকাতার বিভিন্ন নামীদামী কেক কোম্পানীর সঙ্গে রীতিমত পাল্লা দিচ্ছে বর্ধমানের এই বেকারীটি। বর্ধমান শহর ছাড়িয়ে নদীয়া, হুগলী জেলাতেও রীতিমত বাজার কাঁপাচ্ছে বিভিন্ন ধরণের কেকের সম্ভার নিয়ে। সংস্থার কর্ণধার এস এস বাদশা জানিয়েছেন, অন্যান্য বছরের মত এবছরও বাজারে কেকের চাহিদা ব্যাপক। বাজারে চাহিদা মেটাতে তাই তাঁরা এক সপ্তাহ আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছেন। সকাল ৮টা থেকে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত চলছে এখন কেক তৈরী।
এস এস বাদশা জানিয়েছে্ন, প্রতিবছরই তাঁরা বড়দিন আর নিউ ইয়ার উপলক্ষে বাজারে নতুন কোন আইটেম নিয়ে আসেন। এবার একই কেকের মধ্যে দু ধরনের স্বাদের কেক বাজারে নিয়ে এসেছেন। বাজারে চাহিদাও রয়েছে এই ডবল স্বাদের কেকের। দাম পড়ছে প্রায় ৩০০ টাকার কাছাকাছি। তিনি জানিয়েছে্ন, এখনও পর্যন্ত সব ধরনের কেক প্রায় ৪০ হাজারে পাউণ্ড তাঁরা সরবরাহ করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, একদিকে জিএসটির বোঝা এবং অন্যদিকে আটা ময়দা সহ অন্যান্য কেক তৈরীর সরঞ্জামের দাম বাড়লেও সাধারন গ্রাহকদের কথা ভেবে তাঁরা কেকের দাম বাড়াননি। গতবারের মতই এবারও তাঁরা একই দামে কেক সরবরাহ করছেন। কারখানার শ্রমিক কাজি সিরাজ জানিয়েছেন, কেক তৈরী করতে বিশেষ ধরণের রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াও আটা, ময়দা,ডিম লাগে। বড়দিনের সময় এই কেকের চাহিদা মেটাতে তাদের অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হচ্ছে। তবু অল্প সময়ে বেশি রোজগারের ফলে তাদের পরিবারের মুখেই তাঁরা হাসি ফোটাতে পারছেন।
0 comments:
Post a comment