
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, নদীয়া ও বর্ধমানঃ ফের চোলাই মদের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু মিছিল রাজ্যে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী একজন মহিলা সহ মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ কমপক্ষে ২৪ জন। মৃত ব্যাক্তিরা হলেন দুলাল মাহাত, কাশীনাথ মাহাত, ভুটান মাহাত, মুন্না রায়, গৌতম শর্মা, ভালুয়া মাহাত, সুনীল মাহাত। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুরের নৃসিংহপুরে। ঘটনার পর মৃত ব্যাক্তিদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি এই ঘটনার পরেই আবগারি দপ্তরের প্রায় ১১ জন অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই এলাকায় চোলাই মদ বিক্রেতাদের খোঁজে সন্ধান চালানো শুরু করেছে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু পরিমান চোলাই মদও উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক করেছে কয়েকজন মদ বিক্রেতাকে। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মূল মদ বিক্রেতারা পলাতক, তাদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর,নদীয়ার শান্তিপুর থানার নৃসিংহপুরের চৌধুরী পাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি চোলাই মদের ঠেক চালায় বেশ কয়েকজন সমাজ বিরোধী। অভিযোগ,মূলত বর্ধমানের কালনা থেকে মদ নিয়ে এসে বিক্রী করত তারা। অভিযোগ,মঙ্গলবার রাতে চৌধুরী পাড়া এলাকার বেশ কয়েকজন ও স্থানীয় একটি ইট ভাটার শ্রমিকরা এলাকার বেআইনি মদের ঠেক থেকে চোলাই কিনে খায়। এর পরই রাত থেকে অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে চোলাই মদ খাওয়া লোকেরা। অসুস্থদের পরিবার ও স্থানীয় মানুষ আক্রান্তদের শান্তিপুর ও কালনা হাসপাতালে ভর্তি করলে এখনো পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে দুটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন প্রায় ২৪ জন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
বুধবার সকালে বিষ মদে মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই এলাকায় ছুটে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ বাহিনী। এলাকায় যান শান্তিপুরের বিডিও ও বিশেষ মেডিকেল টিম। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, এলাকায় মদ বিক্রির প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয়নি। তাদের অভিযোগ,পুলিশেরই একটি অংশের মদতে এলাকায় চলত চোলাই ব্যবসা। তবে স্থানীয়দের দাবি এলাকায় পুনরায় যাতে মদ বিক্রি না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশ কে।
0 comments:
Post a comment