
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে চাকরি পাইয়ে দেওয়া থেকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়া। এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলেমেয়েদের ভর্তিও করে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন প্রতারণা চালানোর পর অবশেষে পুলিশের হাতে এল বর্ধমান শহরের ৩নং শাঁখারীপুকুর এলাকার বাসিন্দা সৌরভ সাহা নামে এক যুবক। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বর্ধমান শহর জুড়ে। সোমবার বিকালে প্রতারিতরাই তাঁকে রাস্তায় দেখতে পেয়ে ঘিরে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এদিন প্রতারিত শাঁখারীপুকুর এলাকার বাসিন্দা কবিতা মণ্ডল জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তাঁকে ঘর পাইয়ে দেবার নাম করে ৩৫ হাজার টাকা নেয় সৌরভ। অপর এক মহিলা সাধনা ঘোষ জানিয়েছেন, এভাবেই তাঁকেও ঘর পাইয়ে দেবার নাম করে ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা নেয় সৌরভ। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নিয়মানুযায়ী পুরসভা থেকে অনুমোদন হবার পর সেই তালিকা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যাবার পর তা কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত তালিকা অনুসারে পরীক্ষিত হবার পর সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক এ্যাকাউণ্টে দুটি কিস্তিতে মোট ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে বাড়ি তৈরীর প্রথম পর্যায়ের ছবি সহ আনুষঙ্গিক নিয়ম মানার পরই দ্বিতীয় দফার টাকা বরাদ্দ করা হয়। এক্ষেত্রে উল্লখযোগ্য বিষয় হল কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত তালিকা। সেই তালিকায় নাম না থাকলে এই সুযোগ পাবেন না উপভোক্তারা।
জানা গেছে, সৌরভ সেই আশ্বাস দিয়েই টাকা নিয়েছিল ওই মহিলাদের কাছ থেকে। বর্ধমান পুরসভার কয়েকজন প্রভাবশালীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানায় সে। একইভাবে আরও অনেকের কাছ থেকেই সে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা খাতে বাড়ি তৈরী করে দেবার নাম করে টাকা নেয়। যদিও এখনও পর্যন্ত কেউই সেই সুবিধা পাননি বলে অভিযোগ। এরই পাশাপাশি এদিন অন্য এক প্রতারিত ব্যক্তি তথা বর্ধমান শহরের কালনা গেটের বাসিন্দা শৈবাল হাজরা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলেকে খড্গপুরের আইআইটিতে ভর্তি করে দেবার নাম করে সৌরভ ৪ লক্ষ টাকা নেয়। এছাড়াও তাঁর এক বন্ধুর মেয়েকে চাকরি করে দেবার নাম করে ৬ লক্ষ টাকা নেয় সে। কিন্তু কোনো কাজই করতে পারেনি সে। এব্যাপারে টাকা ফেরত চাওয়া হলেও অভিযোগ প্রতারক সৌরভ নানা কারণেই টালবাহানা করতে থাকেন। বর্ধমান পুরসভার এক কাউন্সিলারকেও তিনি লিখিতভাবে সৌরভ সাহা এবং তার বাবা অজয় সাহার নামে এই অভিযোগ জানান। জানানো হয়, জেলা পুলিশ সুপার এবং বর্ধমান থানাকেও। কিন্তু তাতেও কোনো সুরাহা হয়নি।
এরই মাঝে সৌরভের বাবা অজয় সাহা মুচলেখা দিয়ে জানান, তিনি ওই নেওয়া টাকা ধাপে ধাপে ফিরিয়ে দেবেন। এরই মাঝে সৌরভ শৈবালবাবুকে ১০ লক্ষের মধ্যে মাত্র ৮০ হাজার টাকা দিয়ে কার্যত পালিয়ে পালিয়ে বেড়াতে থাকে। এরই পাশাপাশি শৈবালবাবু জানিয়েছেন, চাকরি করে দেবার নাম করে সৌরভ রাজ্যের এক প্রভাবশালী নেতা এবং একদা এক প্রভাবশালী রাজ্য ছাত্র নেতার সঙ্গে তার ঘনিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে। এরপরই সোমবার বর্ধমান শহরের কোর্ট কম্পাউণ্ড এলাকায় ট্রেজারীতে কয়েকজনকে ডেকে পাঠায় সৌরভ। প্রতারিত মহিলারা জানিয়েছেন, তাঁদের বলা হয়েছিল তাঁদের নামে ট্রেজারীতে টাকা এসেছে। তাই তাঁদের আসতে বলেন। কিন্তু এদিন তাঁরা পরিষ্কারভাবেই বুঝতে পারেন, একজন ঠগের পাল্লায় পড়েছেন তাঁরা। এরপরই বর্ধমান থানায় খবর দেওয়া হলে বর্ধমান থানা থেকে পুলিশ এসে আটক করেন ওই প্রতারককে।
এদিন প্রতারিত শাঁখারীপুকুর এলাকার বাসিন্দা কবিতা মণ্ডল জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তাঁকে ঘর পাইয়ে দেবার নাম করে ৩৫ হাজার টাকা নেয় সৌরভ। অপর এক মহিলা সাধনা ঘোষ জানিয়েছেন, এভাবেই তাঁকেও ঘর পাইয়ে দেবার নাম করে ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা নেয় সৌরভ। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নিয়মানুযায়ী পুরসভা থেকে অনুমোদন হবার পর সেই তালিকা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যাবার পর তা কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত তালিকা অনুসারে পরীক্ষিত হবার পর সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক এ্যাকাউণ্টে দুটি কিস্তিতে মোট ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে বাড়ি তৈরীর প্রথম পর্যায়ের ছবি সহ আনুষঙ্গিক নিয়ম মানার পরই দ্বিতীয় দফার টাকা বরাদ্দ করা হয়। এক্ষেত্রে উল্লখযোগ্য বিষয় হল কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত তালিকা। সেই তালিকায় নাম না থাকলে এই সুযোগ পাবেন না উপভোক্তারা।
জানা গেছে, সৌরভ সেই আশ্বাস দিয়েই টাকা নিয়েছিল ওই মহিলাদের কাছ থেকে। বর্ধমান পুরসভার কয়েকজন প্রভাবশালীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানায় সে। একইভাবে আরও অনেকের কাছ থেকেই সে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা খাতে বাড়ি তৈরী করে দেবার নাম করে টাকা নেয়। যদিও এখনও পর্যন্ত কেউই সেই সুবিধা পাননি বলে অভিযোগ। এরই পাশাপাশি এদিন অন্য এক প্রতারিত ব্যক্তি তথা বর্ধমান শহরের কালনা গেটের বাসিন্দা শৈবাল হাজরা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলেকে খড্গপুরের আইআইটিতে ভর্তি করে দেবার নাম করে সৌরভ ৪ লক্ষ টাকা নেয়। এছাড়াও তাঁর এক বন্ধুর মেয়েকে চাকরি করে দেবার নাম করে ৬ লক্ষ টাকা নেয় সে। কিন্তু কোনো কাজই করতে পারেনি সে। এব্যাপারে টাকা ফেরত চাওয়া হলেও অভিযোগ প্রতারক সৌরভ নানা কারণেই টালবাহানা করতে থাকেন। বর্ধমান পুরসভার এক কাউন্সিলারকেও তিনি লিখিতভাবে সৌরভ সাহা এবং তার বাবা অজয় সাহার নামে এই অভিযোগ জানান। জানানো হয়, জেলা পুলিশ সুপার এবং বর্ধমান থানাকেও। কিন্তু তাতেও কোনো সুরাহা হয়নি।
এরই মাঝে সৌরভের বাবা অজয় সাহা মুচলেখা দিয়ে জানান, তিনি ওই নেওয়া টাকা ধাপে ধাপে ফিরিয়ে দেবেন। এরই মাঝে সৌরভ শৈবালবাবুকে ১০ লক্ষের মধ্যে মাত্র ৮০ হাজার টাকা দিয়ে কার্যত পালিয়ে পালিয়ে বেড়াতে থাকে। এরই পাশাপাশি শৈবালবাবু জানিয়েছেন, চাকরি করে দেবার নাম করে সৌরভ রাজ্যের এক প্রভাবশালী নেতা এবং একদা এক প্রভাবশালী রাজ্য ছাত্র নেতার সঙ্গে তার ঘনিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে। এরপরই সোমবার বর্ধমান শহরের কোর্ট কম্পাউণ্ড এলাকায় ট্রেজারীতে কয়েকজনকে ডেকে পাঠায় সৌরভ। প্রতারিত মহিলারা জানিয়েছেন, তাঁদের বলা হয়েছিল তাঁদের নামে ট্রেজারীতে টাকা এসেছে। তাই তাঁদের আসতে বলেন। কিন্তু এদিন তাঁরা পরিষ্কারভাবেই বুঝতে পারেন, একজন ঠগের পাল্লায় পড়েছেন তাঁরা। এরপরই বর্ধমান থানায় খবর দেওয়া হলে বর্ধমান থানা থেকে পুলিশ এসে আটক করেন ওই প্রতারককে।
0 comments:
Post a comment