
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমানঃ প্রায় ৫০০ বছরের পুরোন বৈষ্ণব শ্রীপাট মন্দির সংস্কার করতে গিয়ে ভাঙ্গা হাড়গোড় বেরিয়ে আসার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বরের দেনুর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পরিব্রাজক মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য পুরী যাওয়ার পথে এই বৈষ্ণব শ্রীপাট স্থানে এসেছিলেন। মহাপ্রভুর নির্দেশে বৃন্দাবন দাস ঠাকুর এই স্থানে বসেই চৈতন্য ভাগবত রচনা করেছিলেন। এহেন ঐতিহাসিক স্থানের সংস্কার করতে গিয়ে খননকার্য্যের সময় হাড়গোড়ের টুকরো উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
যদিও স্থানীয় মানুষ ও বর্তমান সেবায়িত কৃষ্ণ মহান্ত, নরহরি মহান্তরা জানান, বৃন্দাবন দাস পরবর্তী সময়ে রামহরি মহান্ত ছিলেন এই বৈষ্ণব শ্রীপাট মন্দিরের মুখ্য সেবাইত। তিনিই সেবায়িতদের প্রথম পুরুষ ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর এখানেই রামহরি মহান্তকে সমাধিস্থ করা হয়। তাদের অনুমান উদ্ধার হওয়া হাড়গোড় সম্ভবত তাঁরই। তবে এবিষয় নিয়ে সেবায়িতরা কোন তদন্ত চাইছেন না।
অন্যদিকে বর্ধমান ইতিহাস প্রত্নচর্চা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ইতিহাসবিদ ডঃ সর্বজিত যশ জানিয়েছেন, বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী মানুষদের মৃত্যুর পর সমাধিস্থ করার রীতি প্রচলিত ছিল। সে ক্ষেত্রে বৃন্দাবন দাস ঠাকুর অথবা পরবর্তীতে কোন সেবাইতকে এই স্থানে সমাধিস্থ করা হয়ে থাকতেই পারে। খননকার্য্যের সময় উদ্ধার হওয়া ভাঙ্গাচোরা হাড়গোড়ের ডিএনএ পরীক্ষা করা হলেই সঠিক ভাবে তথ্য উদ্ঘাটিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে হাড়গোড়ের সময়কাল সম্বন্ধেও সঠিক তথ্য জানা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরে স্থানীয় মানুষজন, ভক্তরা এবং সেবায়িতরা সম্মিলিত ভাবে ভগ্নপ্রায় এই মন্দিরটি সংস্কারের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। বুধবার নির্মান শ্রমিকরা সংস্কারের জন্য খনন কাজ করার সময় বেশ কিছু ভাঙ্গা হাড়গোড় বেরিয়ে আসে। আর তারপরই খনন কার্য বন্ধ করে দেয় তারা।
0 comments:
Post a comment