ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ অবশেষে ছাত্রছাত্রী এবং অধ্যাপক ও অশিক্ষক কর্মীদের আবদারে ইস্তফাপত্র ফিরিয়ে নিলেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারী কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশীষ চক্রবর্তী। উল্লেখ্য, কলেজের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মী মুকেশ শর্মার দুর্ব্যবহারে রীতিমত অপমানিত ও অসন্তুষ্ট মেমারী কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশীষ চক্রবর্তী দুর্গাপুজোর ছুটির আগেই মহকুমা শাসকের কাছে লিখিতভাবে তাঁর ইস্তফাপত্র দেন। তা গ্রহণও করা হয়। তারপরেই ছুটি পড়ে যায়। কিন্তু এরই মাঝে গোটা বিষয়টি জানাজানি হলে কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবী জানাতে থাকে। দুর্গাপুজোর পর এবং কালীপূজোর আগে কয়েকদি্নের জন্য কলেজ খোলে।
গত ২ নভেম্বর কলেজ অধ্যক্ষকে কলেজ ছেড়ে যেতে না দেবার দাবীতে ছাত্রছাত্রীরা ধর্ণায় বসেন। একইসঙ্গে কলেজের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা সরাসরি দেবাশীষবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলে এই ইস্তফাপত্র ফিরিয়ে নেবার আবেদন জানান। রীতিমত ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে অবশেষে সিদ্ধান্ত বদলের পক্ষেই সায় দেন কলেজ অধ্যক্ষ। এরপরই দেবাশীষবাবুও সকলের দাবী ও আবদার মেনে লিখিতভাবে তাঁর ইস্তফাপত্র ফিরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানান বর্তমান কলেজ প্রশাসক তথা মহকুমাশাসকের কাছে। বুধবার সরাসরি মহকুমা শাসকের কাছে এসে তিনি লিখিতভাবে ইস্তফাপত্র ফিরিয়ে নেন। আর এরপরই কার্যত যুদ্ধজয়ের আনন্দে রাস্তার ধারেই চায়ের দোকানে চা পানে মেতে ওঠেন প্রায় ৪০জন কলেজের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী সহ খোদ দেবাশীষবাবু।
এদিন দেবাশীষবাবু জানিয়েছেন, সাধারণত, অনেক স্কুলেই মাঝে মাঝে শোনা যায়, শিক্ষকদের আটকাতে ছাত্রছাত্রীরা ধর্ণায় বসে, আন্দোলন করে। কিন্তু কোনো কলেজের অধ্যক্ষকে আটকাতে এবং সুষ্ঠভাবে কলেজ চালাতে যেভাবে ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে সম্মান জানিয়েছে, শিক্ষকতার জীবনে এটাই তাঁর কাছে চরম উপহার। তিনি আপ্লুত।
0 comments:
Post a comment