
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কালনাঃ একটি আট বছরের রক্তাক্ত, ধর্ষিত শিশুর সাত দিন ধরে চিকিৎসা করার পরেও চিকিৎসক নাকি কোন ধর্ষণের চিহ্ন খুঁজে পাননি - বলে পুলিশ কে দেওয়া রিপোর্ট এর ভিত্তিতে ধর্ষক কয়েক দিনের মধ্যেই ছাড়া পেয়ে গেল। চিকিৎসকের এহেন রিপোর্ট এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে শুক্রবার অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে হাসপাতাল সুপারকে স্বারকলিপি দিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি কালনা মহকুমা হাসপাতালের।
গত ৯ সেপ্টেম্বর কালনা থানার হাতিপোঁতা গ্রামের একটি আট বছরের মেয়েকে এই হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত মেয়েটির পরিবার থেকে কালনা থানায় ধর্ষণের অভিযোগও লিপিবদ্ধ করা হয়। তাতে বলা হয়, গত ৭ সেপ্টম্বর সন্ধ্যায় মোবাইলে ভালো ছবি দেখানোর জন্য মেয়েটিকে ছাদে ডেকে নিয়ে যায় অভিজুক্ত প্রতিবেশী যুবক তাপু মোল্লা। সেখানেই ধর্ষণ মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ধর্ষণের পর মেয়েটির মুখ বন্ধ করার জন্য তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়াও হজগ।পরের দিন মেয়েটির গায়ে জ্বর চলে এলে তাকে ডাক্তারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ওষুধ খাওয়ার পরও মেয়েটির শাররীক অবস্থার উন্নতি হয় না। সে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে। পেটের তলদেশে প্রচন্ড যন্ত্রনা শুরু হয়। মেয়েটি তখন তার মায়ের কাছে সব কিছু খুলে বলে। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পাশাপাশি কালনা থানার পুলিশ অভিযুক্ত তাপু মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৪৮/৩৭৬(২)(১) এবং পসকো আইনে মামলা করে আদালতে পেশ করে। এই মামলার কেস নম্বর হল ৪৪৬/১৮ তারিখ ১০ সেপ্টম্বর ২০১৮। কিন্তু অভিযুক্ত কয়েক দিনের মধ্যেই জামিন পেয়ে যায়।
দলিত ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন পরিষদ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে শুক্রবার কালনা হাসপাতাল সুপার ডাঃ কৃষ্ণচন্দ্র বড়াই কে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও পি পাঠক শিশু ধর্ষণে সঠিক রিপোর্ট না দেওয়ায় সঠিক বিচারের অভাবে অভিযুক্ত তারাতারি জামিন পেয়ে যায়। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগ পত্র প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে হাসপাতাল সুপার জানান - বিষয়টি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে। অন্যদিকে সংস্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্নধার রাজু ঘোষ জানান - তারা এই বিষয়টি নিয়ে দুই দিন আগে পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসককেও স্মারকলিপি দিয়েছি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কালনা থানার পুলিশ শুক্রবার আক্রান্ত মেয়েটি এবং তার মাকে থানায় ডেকে পাঠিয়েছে।
0 comments:
Post a comment