
পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ পচা মাংসের রমরমা যে সিউড়িতে এখনো চলছে তা বুধবার আবারো একবার প্রমানিত হল। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে দিব্যি বিকোচ্ছে পচা মাংস। চলছে দেদার লোক ঠকানোর ব্যাবসা।
মোহাম্মদ বাজার থানা এলাকার প্যাটেল নগরের বাসিন্দা কুনাল চক্রবর্তী, পেশায় পুলিশকর্মী। তিনি হুগলি থানায় কর্মরত। ছুটিতে বাড়ি এসে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন সিউড়ি। বাড়ি ফেরার সময় সিউড়ির বেনীমাধব মোড়ের একটি দোকান থেকে খাসির মাংস কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন। বাড়িতে রাতের রান্না না হওয়ায় ফ্রিজের মধ্যে ভরে রেখেছিলেন মাংস। সকালে জন্য ফ্রিজ থেকে মাংস বের করতেই চক্ষু চড়কগাছ। পচা দুর্গন্ধের সঙ্গে সেই মাংসের ওপর ঘুরে বেরাতে দেখেন অজস্র পোকা। কাল বিলম্ব না করে ওই মাংস নিয়ে ছুটলেন দোকানে। দোকানে মাংস দেখাতেই কাকুতি-মিনতি শুরু করে দোকানদার। যাতে এই ঘটনা তিনি আর কাউকে বলে না দেন তার জন্য কুনাল বাবুর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে মাংসের টাকাও ফেরত দিয়ে দেয় সঙ্গে সঙ্গে।
কিন্তু এতে দমবার পাত্র নন কুনাল বাবু।কারণ এটাই তো শেষবার নয়! তারপরেও যে আরো কাউকে এই ধরনের পচা মাংস সে বিক্রি করবে না তার দায়িত্ব কে নেবে। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে মাংস হাতে যান সিউড়ি থানায় ,সিউড়ি থানায় অভিযোগ জানানোর পরই অভিযুক্ত দুই মাংস ব্যবসায়ীকে আটক করেছে সিউড়ি থানার পুলিশ । ধৃতদের কড়া শাস্তির দাবি করছে কল্যাণ বাবু ও তার স্ত্রী তিথি চক্রবর্তী।
এদিকে এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই শোরগোল পরে যায় শহরে। অন্যান্য মাংস ব্যবসায়ীদের দাবি, ফ্রিজে ঠিকমতো মাংস না রাখার জন্যই এমনটা হয়েছে। পরে অবশ্য তারাই বলছেন, বোধ হয় মাছি বসে গিয়েছিল মাংসে, ডিম পেড়ে দেওয়াতেই এমন হয়েছে। কোনোভাবেই দোষ নিজেদের ঘাড়ে নিতে রাজি হয়নি তারা। যদিও ইতিমধ্যেই প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করছে বলে সুত্রের খবর।
0 comments:
Post a Comment