
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গুসকরাঃ পুরসভার কাজ চলাকালীনই এক দল দুষ্কৃতি ব্যাপক হামলা চালালো কাউন্সিলারের দপ্তরে। চেয়ার,টেবিল ভাঙচুরের পাশাপাশি খোদ কাউন্সিলারের গলা থেকে সোনার হার ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতিরা বলে অভিযোগ। ভর দুপুরে এই ঘটনায় তিব্র চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা পৌরসভায়। এমনকি পুরপতি বুর্ধেন্দু রায়, কাউন্সিলার নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় এবং রত্না গোস্বামীকে মারধোরের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। পুরনো রাগ আক্রোশের জেরেই সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতিরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তৃনমূলের অভিযোগ। যদিও সিপিএমের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
পুরপতি বুর্ধেন্দু রায় দুষ্কৃতিদের গ্রেপ্তারের দাবীতে আউশগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুরপতি জানিয়েছেন, এদিন দুপুরে গুসকরা পুরসভার ৫নং ওয়ার্ডের ইটাচাঁদা এলাকার বাসিন্দা সেখ মণিরুল ইসলাম তাঁর কাছে একটি কাগজ নিয়ে আসে। বুর্ধেন্দুবাবু জানিয়েছেন, ওই ইটাচাঁদা এলাকায় একটি ইদগাহের জন্য ১২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। এদিন আরও ৫ লক্ষ টাকা দেবার জন্য ওই কাজের ঠিকাদার সেখ মণিরুল ইসলাম তাঁর কাছে আসেন। এরপর তিনি সরাসরি তাঁকে বিল বিভাগের দায়িত্বে থাকা কাউন্সিলার নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য পাঠিয়ে দেন। যথারীতি এরপর সেখ মণিরুল ইসলাম নিত্যানন্দবাবুর কাছে যান। কিন্তু নিত্যানন্দবাবু তাঁকে নিয়ম মেনে সাপ্লিমেণ্টারী বিল পুরসভায় জমা দেবার কথা বলেন। আর এর কিছুক্ষণ পরই সেখ মণিরুল আরও কিছু লোকজন নিয়ে এসে ব্যাপক হামলা চালায় নিত্যানন্দবাবুর চেম্বারে। চেম্বারের টেবিল চেয়ার সহ বিভিন্ন মেশিনপত্র ভাঙচুর চালায়। এমনকি নিত্যানন্দবাবুর গলায় থাকায় একটি দামী সোনার চেন এবং তাঁর কাছে থাকা নগদ ৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। আচমকা এই হামলার পরই পুরসভার কর্মীরা ছুটে আসলে দুষ্কৃতিরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় আউশগ্রাম থানায় পুরপতি সেখ মণিরুল সহ সানোয়ার মল্লিক, শাহনওয়াজ মল্লিক সহ কয়েকজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উল্লেখ্য, গুসকরা পুরসভার ওই ৫নং ওয়ার্ডটি সিপিএমের কাউন্সিলার আফসোনা বেগমের দখলে রয়েছে। এই হামলার পিছনে সিপিএমের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন পুরসভার কর্মীরা।
0 comments:
Post a comment