ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,আরামবাগঃ আদালতের নির্দেশে এক ডিভোর্সি মহিলার পণ সামগ্রী উদ্ধার করতে গিয়ে ব্যাপক ভাবে আক্রান্ত হলেন পুরশুড়া থানার একজন এস আই,এক মহিলা কন্সটেবল সহ মোট পাঁচ জন। গ্রামবাসীদের আক্রমনে ওই মহিলা কন্সটেবলের মাথা ফেটে যায়। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের ছোড়া ইটের আঘাতে এস আই তন্ময় বাগ মারাত্মক ভাবে কানে আঘাত পান। আহত পুলিশ কর্মীদের চিকিৎসার জন্য আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পুরশুড়া থানার পশ্চিম পাড়ার দাস পাড়া এলাকায়।
ঘটনা সুত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ওই ডিভোর্সি মহিলা মৌমিতা দাস কে সাথে নিয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে পণের সামগ্রী উদ্ধার করতে যায় পুলিশ। সেই সময় মৌমিতার শাশুড়ি কানন দাস বাধা দিলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ বলে অভিযোগ। মারধরের জেরে কানন দেবীর মাথা ফেটে যায়।
মায়ের মাথা রক্তাক্ত দেখে ছেলে স্বপন দাস পাল্টা পুলিশের ওপর চড়াও হলে তাকেও বেধড়ক মারধর করে পুলিশ। তারপর গ্রামের প্রায় শত খানেক মানুষ জড়ো হয় ঘটনাস্থলে। পুলিশের সাথে শুরু হয় তর্ক বিতর্ক। সেই সময়ই স্বপন দাস উত্তেজিত হয়ে পুলিশের গায়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ। পুলিশের এহেন কাজ দেখে গ্রামবাসীরাও তখন পুলিশকে মারধর করতে থাকে। পুলিশ কে লক্ষ্য করে গ্রামবাসীরা ইঁট ছুঁড়তে শুরু করে। আর তাতেই পাঁচ জন আহত হন।
ঘটনার খবর পেয়ে আরামবাগ এসডিপিও কৃশানু রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ওই গ্রামে পৌঁছায় । তারপর এলাকা ফাঁকা করতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সাংবাদিকরা লাঠিচার্জের ছবি তুলতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ নিরীহ গ্রামবাসীদের ওপর লাঠি চালিয়েছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। স্বপন দাস পলাতক।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কানন দাস জানিয়েছেন, তিনি কিছুই জানতেন না। হঠাৎ পুলিশ ও কয়েকজন সাদা পোশাকের লোক এসে তাঁর বাড়িতে ঢুকতে যায়। বাধা দিলে তারা তাকে মারধোর করে, মারের চোটে মাথা ফেটে যায়। যদিও পুলিশ লাঠিচার্জের কথা স্বীকার করেনি। আরামবাগ এসডিপিও কৃশানু রায় বলেন, এই ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
0 comments:
Post a comment