ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,দক্ষিন দিনাজপুরঃবালুরঘাটের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে কন্যাশ্রী সহ রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পগুলির
পরিষেবা প্রদান ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে প্রচারের
অন্যতম বড় হাতিয়ার। বিগত ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৮ আসন বিশিষ্ট এই
অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১টি আসন দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস, ৬টি আসন দখল করেছিল বামফ্রন্ট এবং ১টি আসন দখল করেছিল কংগ্রেস। মোদী হাওয়ার
দাপটে জেলার অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিরোধী
দলগুলির প্রতি যখন নতুন ভোটারদের আসক্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেখানে এই গ্রাম
পঞ্চায়েত এলাকার নতুন ভোটারদের মনে বিরোধী দলগুলি সেই ভাবে দাগ কাটতে পারে নি। তাই
এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কন্যাশ্রীর অনুদানে পড়াশুনা চালিয়ে
যাওয়া বা সবুজ সাথী-র মতন সরকারী প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী
নতুন ভোটাররা ভরসা রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর উপরে। যা এই গ্রাম পঞ্চায়েত
এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম শক্তি হিসাবে উঠে আসছে
এই গ্রাম
পঞ্চায়েতের পন্ডিতপুর এলাকার বাসিন্দা বালুরঘাট মহাবিদ্যালয়ের প্রথম
বর্ষের ছাত্রী কনিকা বর্মণ জানান, তাদের পারিবারিক
অবস্থা ভাল ছিল না। কিন্তু কন্যাশ্রী প্রকল্পের অনুদান পাওয়ার জন্য পড়াশুনা চালিয়ে
যেতে পারছেন ।আর সেই কারনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর প্রতি
কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছে এবারের নতুন ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত হওয়া ছাত্রী কনিকা বর্মণ।
এই অঞ্চলেরই অপর এক উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রী পপি দেবনাথ-এর বাবা শ্যামল দেবনাথ জানান,কন্যাশ্রীর কারনে তার মেয়েকে লেখাপড়া করানোর ক্ষেত্রে তার সুবিধা হয়েছে।
অনুরুপভাবে এই অঞ্চলেরই অভাবি পরিবারের সদস্যা পূর্ণিমা বর্মণ জানিয়েছেন, তিনি সমব্যাথী
প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। পাশাপাশি এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম সংসদ
এলাকার স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের পরিবারের সদস্যরাও রাজ্যে সবুজ সাথী প্রকল্পকে
রাজ্য সরকারের ভাল উদ্যোগ বলে মনে করেন।
অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের তৃণমূল
কংগ্রেসের অঞ্চল সম্পাদক নির্মল মাহাতো জানিয়েছেন,কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, সমব্যথী প্রকল্প সহ
অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধাগুলি এখন গ্রামের ঘরে ঘরে পৌছে গেছে। মানুষ তাই
এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর উপর আস্থা রাখছে। সুতরাং পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গ্রাম
পঞ্চায়েত এলাকায় ভোট প্রচারে শাসক দল তৃণমূলের কাছে সরকারী প্রকল্পগুলি যে
প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার হতে চলেছে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে
না।
0 comments:
Post a comment