
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান:বর্ধমানে ধরা পড়ল ভূয়ো চাকরী চক্রের এক পান্ডা সহ দু জন। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক পদে চাকরী করে দেবার নাম করে প্রতারকরা লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। ধৃত প্রতারকদের নাম অনিল চৌধুরী এবং চন্দন মাহাতো। এদের মধ্যে অনিল চৌধুরীর বাড়ি হুগলীর চন্দননগরে। চন্দন গাড়ির চালক। যদিও এদিন এই ভূয়ো চাকরী চক্রের পাণ্ডা অলোক দাস পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। তার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে পেশ করে ৭দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানায় বর্ধমান থানার পুলিশ। বিচারক অভিযুক্ত অনিল চৌধুরীকে ৭দিনের পুলিশ হেফাজত এবং চন্দন মাহাতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,২০১২ সালে রায়নার নতু মোহনপুর এলাকার বাসিন্দা ধনঞ্জয় অধিকারী ও মাধবডিহির সন্তোষ সরকার প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের পরীক্ষা দেন। এরপর অনিল চৌধুরী এই প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। মাথা পিছু ৮ লক্ষ টাকা দিলে চাকরির নিয়োগপত্র দেবার প্রতিশ্রুতিও দেয়। সেইমতো দুজনে মিলে মোট ৭লক্ষ টাকা প্রতারকদের দেয়। কিন্তু কয়েকমাস কেটে গেলেও প্রতারকদের কাছ থেকে নিয়োগপত্র না পেয়ে পুনরায় যোগাযোগ করলে প্রতারকরা বাকি টাকা দাবি করে। প্রতারিত হয়েছে বুঝতে পেরে এরপর চাকরি প্রার্থীরা বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বুধবার ওই প্রতারকদের বাকি টাকা দেওয়ার টোপ দিয়ে ডেকে পাঠায় চাকরি প্রার্থীরা। পুলিশও
ওৎ পেতে থাকে তাদের ধরার জন্য। এরপর প্রতারকরা টাকা নিতে বর্ধমানে আসলে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে বিএসএফ লেখা একটি গাড়িও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।
ছবি - সুরজ প্রসাদ
0 comments:
Post a comment