
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কাটোয়া: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিন থেকে প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত বিরোধীদের ওপর শাসকদলের সন্ত্রাসের অভিযোগ অব্যাহত। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমাতেও এই ঘটনার ব্যাতিক্রম হয়নি। এস ইউ সি আই (সি ) দলের জেলা কমিটির সদস্য অরবিন্দ সাহা জানিয়েছেন,সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশকে হত্যা করে মানুষের স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকারকে কেড়ে নিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে দলের কাটোয়া মহকুমার সমস্ত প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিয়ে নির্বাচন নামক প্রহসন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।
তিনি জানান, শাসকদলের দুষ্কৃতীদের হুমকি,সন্ত্রাসের মধ্যে মহকুমায় গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে এস ইউ সি আই (সি ) দলের কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। শুধুমাত্র জেলাপরিষদের তিনটি আসনে প্রার্থীপদ মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মনোনয়নের পর থেকেই প্রাথীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুরু হয়েছিল লাগাতার হুমকি আর শাসানি। গত ৯এপ্রিল রাতে কাটোয়া লোকাল কমিটির সম্পাদক অপূর্ব চক্রবর্তীকে সব প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য শারীরিক ভাবে নিগ্রহ এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। গতকাল পর্যন্ত প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আগুন লাগানো,গরু খুলে নিয়ে যাওয়া,মজুত ফসল নষ্ট করা থেকে প্রাণে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল। এমনকি কাটোয়ার দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূলি দুষ্কৃতীদের একটি দল এসে অপূর্ব চক্রবর্তীকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেবার জন্য রীতিমত হুমকি দেওয়া হয়। দলের প্রার্থী রিতা পালকেও তুলে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা।
অরবিন্দ সাহা জানিয়েছেন, পুলিশকে প্রতিটি ঘটনার বিষয় লিখিতভাবে জানালেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।তাই লাগাতার সন্ত্রাস আর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণে কাটোয়া মহকুমার এস ইউ সি আই (সি ) দলের সব প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।
উল্লেখ্য, বর্ধমানে কুশ রাজমল্লা,আউশগ্রামে মনসা মেটে এবং কালনায় নির্মল মাঝি জেলা পরিষদের আসনে এস ইউ সি আই (সি ) দলের এই তিন প্রার্থী ছাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে কোন প্রার্থীই মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি শাসকদলের সন্ত্রাসে বলে অভিযোগ করেছেন দলের জেলা কমিটির সদস্য অরবিন্দ সাহা।
0 comments:
Post a comment