
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান:জামালপুরের জোড়া তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ১৮ জন সিপিএম নেতা ও কর্মীর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল বর্ধমান আদালত। বুধবার বর্ধমানের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সেখ মহম্মদ রেজা এই সাজা ঘোষণা করেন। এদিন সাজা ঘোষণার পরই দোষীদের পরিবার বর্গ আদালত চত্বরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আসামি পক্ষের আইনজীবি স্বপন বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জামালপুরের মুইদিপুর পচা মার্কেট এলাকায় মিলন মালিকের নেতৃত্বে সশস্ত্র সিপিআইএম কর্মীরা হামলা চালায় তৃণমূল সমর্থকদের উপর। এই ঘটনায় ২তৃণমূল কর্মী পাঁচুগোপাল দাস ও ঈশা মল্লিক খুন হয়। গুরুতর জখম হয় সাহেব সাঁতরা,শ্যামাপদ দে,শ্যামল দাস,শৈলেন কর্মকার,অনিল মালিক,দীনবন্ধু সাঁতরা সহ আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক। তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এরই পাশাপাশ সিপিআইএম কর্মীরা স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিস ভাঙচুর সহ বেশ কিছু তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয়। সেইদিনই সিপিআইএম-এর কয়েকজন কর্মী জামালপুর থানার রেসলাতপুর গ্রামের দিঘিরপাড় ও উজিরপুরের রুইদাস পাড়াতেও ব্যাপক তান্ডব চালায়। তাঁতি পাড়ায় তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল নেতা পাঁচুগোপাল দাসকে। একইভাবে অমরপুর গ্রামের ঈশা মল্লিককেও তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়।
এই ঘটনায় পাঁচুগোপাল দাসের ভাইপো প্রবীর দাস জামালপুর থানায় সিপিআইএম নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। উত্তাল হয়ে উঠে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর।
২০১১সালের ১৬ জানুয়ারি পুলিশ এই জোড়া খুনের ঘটনার তদন্ত শেষ করে ১৮জন সিপিআইএম নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে। প্রায় ৭বছর ধরে এই মামলা চলার পর গতকাল এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। এরপর আজ বিচারক অভিযুক্ত মিলন মালিক এবং তাঁর দুই ছেলে মনোজ মালিক ও ঝণ্টু মালিক, সুদেব মালিক, লখীরাম সোরেন, রাম মাণ্ডি, স্মরজিত মাঝি, সুজিত মাঝি, কার্তিক মাঝি, বিকাশ মালিক, বিশ্বনাথ দলুই, উজ্জ্বল সাঁতরা, কমল পোড়েল, জয়ন্ত পোড়েল, অশান্ত পোড়েল, হাবল সাঁতরা, উদয় মাঝি এবং রণজিত মাঝির বক্তব্য শোনেন।
দুপুর প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ বিচারক তাঁর রায় ঘোষণা করেন। বিচারক এই ১৮জন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুটি মামলার মধ্যে খুনের মামলায় সকলকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। টাকা অনাদায়ে আরও ৬ মাস জেলের নির্দেশ দেন। অন্য একটি ধারায় প্রত্যেকের
বিরুদ্ধে ৩ বছর জেল এবং ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। টাকা অনাদায়ে আরও ১ মাস জেল। এই দুটি রায়ই একসঙ্গে চলবে বলে তিনি জানান।
দুপুর প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ বিচারক তাঁর রায় ঘোষণা করেন। বিচারক এই ১৮জন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুটি মামলার মধ্যে খুনের মামলায় সকলকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। টাকা অনাদায়ে আরও ৬ মাস জেলের নির্দেশ দেন। অন্য একটি ধারায় প্রত্যেকের
বিরুদ্ধে ৩ বছর জেল এবং ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। টাকা অনাদায়ে আরও ১ মাস জেল। এই দুটি রায়ই একসঙ্গে চলবে বলে তিনি জানান।
0 comments:
Post a comment