
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,আরামবাগ:পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে হুগলির আরামবাগেও অশান্তি অব্যাহত। শনিবার সকাল থেকেই আরামবাগ এসডিও অফিস চত্বরে শাসক দলের কর্মীরা জমায়েত করতে শুরু করে। এদিন যেকোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আরামবাগ এসডিপিও কৃশানু রায়ের নেতৃত্বে দফায় দফায় র্যাফ ও বিশাল পুলিশবাহিনী লাঠিচার্জ করে ভিড় হালকা করার চেষ্টা করেন। তবু মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ফেরার পথে এসডিও অফিস চত্বরেই আক্রান্ত হলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক সহ শাওড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন মহিলা প্রার্থী।
এদিন দুপুরে গোঘাটের শাওড়া থেকে সাতজন প্রার্থীকে নিয়ে আরামবাগ মহকুমাশাসকের দপ্তরে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন গোঘাটের প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক। অভিযোগ, মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে দপ্তর থেকে বের হওয়ার সময় শাসকদলের গুন্ডাবাহিনী তাঁদের উপর হামলা চালায়। তাঁর মুখে কালি মাখিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এছাড়া দলের মহিলা কর্মীদের উপরও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁদের ব্যাগ।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অতিরিক্ত গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নেতৃত্বে পুলিশ ও র্যাফ বাহিনী। লাঠিচার্জ করে এলাকা ফাঁকা করে দেয় পুলিশ । পরে বিশ্বনাথ বাবু তাঁর এবং দলের মহিলা প্রার্থীদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এরপর তাঁকে এবং সাথে থাকা মহিলা প্রার্থীদের পুলিশের গাড়িতে করে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া হয়।
বিশ্বনাথ বাবু জানান,, এটাই তৃণমূলের গণতন্ত্রের নমুনা।তারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে যখন ফিরছিলেন সেই সময় তার মুখে কালি লাগিয়ে মারধোর করে তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীরা। এমনকি মহিলা প্রার্থীদেরও রেয়াত করেনি ওরা। চুল ধরে মারধর করা হয়, ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
অপরদিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা সোহরাব হোসেন বলেন, উনি হলেন সুবিধাবাদী লোক। ফরওয়ার্ড ব্লক এর সঙ্গে প্রতারণা করে সিপিএম করছিলেন। এটা সিপিএম এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের কেচ্ছা। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোন যোগ নেই।
0 comments:
Post a comment