
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কাটোয়া:উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন টোটো এবং অটো চালকদের ঝামেলায় চার দিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার দাঁইহাটের দেওয়ানগঞ্জ ফেরিঘাট পরিষেবা। ফলে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন নিত্য যাতাযাতকারী প্রায় কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ।
চর দাঁইহাট নৌ বাহক সমিতির সম্পাদক তথা ইজারাদার রামেশ্বর সরকার জানিয়েছেন, গঙ্গা নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে প্রায় ১ থেকে ২কিলোমিটার নদীগর্ভে চড়া পরে গেছে। সমিতির উদ্যোগে সম্প্রতি নদীঘাট পর্যন্ত মানুষের সুবিদার্থে চওড়া রাস্তা তৈরী করা হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন সহ সকলেই সুস্থ ভাবে যাতায়াত করতে পারছেন। কিন্তু গত ৫ এপ্রিল সকাল ৫টা নাগাদ ফেরিঘাট খোলার পর সাড়ে ৫টা নাগাদ টোটো চালক রমেন মন্ডল ও আরও কয়েকজন ঘাটে এসে দাবি করে এই রাস্তা দিয়ে অটো চলাচল করতে পারবে না। আর এরপর টোটো চালকদের সঙ্গে অটো চালকদের বচসা বেঁধে যায়। রমেন মন্ডল ও তার সঙ্গে কয়েকজন এরপর জোরপূর্বক ফেরিঘাট বন্ধ করে দেয়। এবং তারা এই বলে হুমকিও দেয় যতদিন অটো চলাচল এই রাস্তায় বন্ধ না হচ্ছে,ফেরি চালু হবে না।
রামেশ্বর সরকার জানান,ঝামেলার আশঙ্কায় ৫এপ্রিলই কাটোয়া থানায় ঘটনার বিবরণ জানিয়ে লিখিত দরখাস্ত জমা দিয়েছেন। ৬ এপ্রিল পুনরায় জেলাপরিষদের অতিরিক্ত জেলাশাসককে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানান হয়। এবং তার কপি কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান,মহকুমা শাসক এবং বিডিও কেও পাঠানো হয়। তিনি জানান,চারদিন পেরিয়ে গেলেও খেয়াঘাট চালু করার বিষয়ে এখনো কোন সুরাহা হয়নি।
প্রসঙ্গত,দাঁইহাটের ওপারে রয়েছে নদীয়া জেলার মাটিয়ারী। প্রতিদিন গঙ্গা পেরিয়ে দুই জেলার নানান কাজে গড়ে প্রায় তিন চারহাজার লোক যাতায়াত করেন। চাকরিজীবী থেকে ছাত্রছাত্রীরা যেমন এই পথে আসা যাওয়া করেন,তেমনি কাঁচামাল থেকে মাছ,সবজি প্রভৃতি আদান প্রদান হয় নদীপথে। স্বাভাবিকভাবেই চারদিন ধরে ফেরি পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একদিকে যেমন চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে মাঝিরা,তেমনি চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। অভিযোগ,এই সুযোগে অধিক মুনাফার লোভে কয়েকজন বালি ব্যাবসায়ী অবৈধ ভাবে বিনা অনুমতিতে যাত্রী পারাপার করাচ্ছে। ফলে বিপদের আশঙ্কাও তৈরী হয়েছে। অবিলম্বে প্রশাসন ফেরিঘাট চালু করার বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করলে সমস্যা আরও জটিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন যাত্রীদের একাংশ।
দাইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মন্ডল কে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এখনো লিখিত কোন অভিযোগ তিনি পাননি। ফেরিঘাট এর বিষয়টি জেলা পরিষদের। সুতরাং অভিযোগ না পেলে আমার কিছু করার নেই। তবে সোমবার যদি অভিযোগ হাতে পাই অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
0 comments:
Post a comment